মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ : চাচাতো বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি সদস্য হিরন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টায় আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার এসআই বিনয় সরকার। সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের সামন থেকে হিরন মিয়াকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ইরন মিয়া উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য ও পূর্ব পাড়া নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আস্তফা মিয়ার ছেলে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে দৌলতপুরের পূর্বনোয়াগাঁও গ্রামের হিরন মিয়া তার চাচাতো বোন রিমা বেগম (ছদ্দনাম) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। দীর্ঘ ৮বছর ধরে চলছে তাদের প্রেমের সম্পর্ক।
পাশাপাশি ঘরের বাসিন্দা হওয়ায় প্রায়ই গোপানে মেলামেশা করতেন তারা। ধীরে ধীরে অবৈধ শারীরীক সম্পর্ক গড়ে উঠে তাদের মধ্যে। অবশেষে ২০১৭ সালের ১৩ আগষ্ট হঠাৎ অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়লে বিয়ের দাবি নিয়ে কথা বলেন প্রেমিক ইরন মিয়ার সঙ্গে। ইরনের চাপে গর্ভপাত করে সে।
কিন্তু ইরন মিয়া বারবার বিয়ের আশ্বাস দিলেও নানা অজুহাতে সময় পার করতে থাকেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান রিমা। গত মঙ্গলবার (১৯সেপ্টেম্বর) বিয়ের দাবীতে অনশন করেও ফল না পেয়ে ইরনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে ফের থানার দারস্থ হয় রিমা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইরন মেম্বারের বড়ভাই চন্দন মিয়া (৩৪) ও পাশের ঘরের রফিক মিয়ার ছেলে ফকরুল মিয়া (২৫) একে অপরের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দু’জনই আহত হয়েছেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় চন্দন ও ফকরুলকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে রিমার একটাই দাবি ‘আমি ইরনের স্ত্রীর মর্যাদা চাই’।